সিলেট ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : সিলেট পুলিশ লাইনস স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মহানগর পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার কামরুল আহসান বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ওই স্কুলের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক রাশেদুল করিম চৌধুরীর বেতন ভাতা পরিশোধ না করায় বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল জারি করেন।
আবেদনে সিএমপি কমিশনার ছাড়াও ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহ আলমকে বিবাদী করা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়ছে।
আদালতে শিক্ষক রাশেদুল করিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজহার উল্লাহ ভূইয়া ও মো. বাহার উদ্দিন আল-রাজী। পরে বাহার উদ্দিন আল-রাজী দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে জেলা পুলিশ লাইনস স্কুলে যোগদান করেন রাশেদুল করিম চৌধুরী। তার কার্যক্রম ‘পছন্দ’ না হওয়ায় পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালের ৬ আগস্ট তাকে স্কুল থেকে শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।
চাকরিতে পুনর্বহালের প্রার্থনা করে ওই বছরই সিলেটের সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন শিক্ষক রাশেদুল করিম। ২০০২ সালের ১৫ মে মামলার রায়ে শিক্ষক রাশেদুলকে বরখাস্তের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে। একই সঙ্গে চাকরিতে পুনর্বহাল করে তার বকেয়া বেতন ভাতা বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন সিলেটের সহকারী জজ আদালত।
রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই স্কুল কর্তৃপক্ষ জেলা জজ আদালতে আপিল করে। আপিল শুনানি শেষে আদালত স্কুল কর্তৃপক্ষের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন জেলা জজ আদালত। ওই আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের ২৩ নভেম্বর ভুক্তভোগী শিক্ষক হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন।
সেই আবেদনের শুনানি করে ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট শিক্ষককে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে ১৯৯৫ সাল থেকে তার পাওনা সমুদয় বেতন ভাতা পরিশোধের নির্দেশ দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সেই লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের পর কাজে যোগ দিলেও অদ্যাবধি তার বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয়নি। তাই সিএমপি কমিশনার ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এই রুল জারি করা হয়।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি