সিলেট ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৫৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর অন্তর ৫ সেন্টিমিটার করে পানি বেড়ে যাচ্ছে। নদী ও হাওরাঞ্চলে এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা করছে সরকারি সংস্থাটি। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, সীমান্তবর্তী চলতি, খাসিয়ামারা, যাদুকাটাসহ বেশ কয়েকটি নদী দিয়ে দ্রুত গতিতে সুরমা নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে আসছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টিলাগাঁও,আলীপুর,নূরপুর সোনাপুরসহ ১০টি গ্রাম ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকায় একটি রাবার ড্যাম থাকায় পানি সরে যেতে বিলম্ব হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের লোকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। যদি ত্রাণ প্রয়োজন হয় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে প্রশাসন। নদীতে অতিরিক্ত স্রোতের কারণে বালিমহালগুলো থেকে বালিপাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া জেলার নিম্নাঞ্চলের উপজেলাগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফসার উদ্দীন জানান, গত কয়েক দিনে ভারতের বরাক ও মেঘালয় বেসিনে ভারি বর্ষণ হয়েছে। এছাড়া জেলার সব নদ-নদী ও হাওরের তলদেশ পলিতে ভরাট হওয়ায় পানি ধারণ ও নিষ্কাশন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে বন্যার আশংকা করছেন তারা।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি