সিলেট ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২৪
বিনোদন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনসহ অনৈতিক সম্পর্ক প্রমাণ হওয়ার কারণে চাকরি হারাতে বসেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সাকলায়েন। অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের সময় গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের এডিসির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
গোলাম সাকলায়েনকে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে মতামত চাওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি)। চাকরি হারাতে বসতে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই এবার গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন আইনজীবী এবং মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে পিয়া জান্নাতুল লেখেন, ‘এই সেই ব্যক্তি (গোলাম সাকলায়েন), যিনি আব্বার এফআর টাওয়ার মামলায় ডিবি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। প্রায় ৬-৭ দিন আমি ও আম্মা আব্বাকে দেখতে ডিবি অফিসে যেতাম।’
এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এই সেই ব্যক্তি, যিনি প্রতারণামূলক এবং জোরপূর্বকভাবে সিআরপিসির ১৬৪ ধারার অধীনে জবানবন্দি নিতে আব্বার সম্মতি নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।’
তিনি লিখেছেন, ‘আমি সম্মতি না দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম আব্বাকে। কেননা, এ ঘটনায় মোটেও জড়িত ছিলেন না তিনি। কিন্তু আমি ডিবি অফিসে যাওয়ার আগেই তিনি (গোলাম সাকলায়েন) আব্বার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে আদালতে পরদিন জমা দিয়ে দেন। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার আমার ওপরও ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন এবং আব্বাকে ও আমাকে চুপ থাকতে বলেন। অথচ তার জানা ছিল না যে, চুপ থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি আমি।’
এছাড়া ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘তিনি (গোলাম সাকলায়েন) যেদিন এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের জন্য জমির মালিক হিসেবে আব্বাকে গ্রেফতার করেছিলেন, তখন আব্বা এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। আব্বার বয়স তখন ৭৭ বছরের বেশি।’
আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল বলেন, ‘আমার দেখা মতে, এই জনাব গোলাম সাকলায়েন ব্যক্তিটি খুবই তীক্ষ্ম, প্রতিভাবান ও ধূর্ত। কিন্তু একটি ভুল তার সবকিছু শেষ করে দিলো। যদিও আমরা মানুষের অপকর্মের জন্য তাকে ক্ষমা করে দেই। কিন্তু প্রকৃতি ও সর্বশক্তিমান সবসময় সঠিক বিচার করার জন্য রয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, পিয়া জান্নাতুল ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ খেতাব অর্জন করেন। এরপর কর্মজীবন শুরু করেন র্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে, ২০০৮ সালে। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন তিনি। পাশাপাশি মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ার সাফল্য অর্জন করেছেন পিয়া।
২০১২ সালে ‘চোরাবালি’র মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক। এছাড়া ২০১৩ সালে বাহরাইনে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রিন্সেস’ প্রতিযোগিতায় বিচারকও ছিলেন তিনি।
(সুরমামেইল/এএইচএম)
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি