সেপ্টেম্বরে ফেজ আউট হচ্ছে বিমানের দুটি এয়ারবাস

প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০১৬

সেপ্টেম্বরে ফেজ আউট হচ্ছে বিমানের দুটি এয়ারবাস

download

সুরমা মেইল নিউজ : আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বহর থেকে দুটি এয়ারবাস এ-৩১০-৩০০ উড়োজাহাজ ফেজ আউট করছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। ফেজ আউটের পর উড়োজাহাজ দুটি বিক্রি করতে গত মে মাসে আন্তর্জাতিক দরপত্রও আহ্বান করেছে বিমান।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্রে জানা গেছে, উড়োজাহাজ দুটির উড্ডয়ন মেয়াদ আগামী আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যাবে। এর পর এগুলো উড্ডয়ন উপযোগী রাখতে হলে ডি-চেক (বড় ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ) করাতে হবে। এতে ব্যয় হবে কয়েক কোটি টাকা। তাই ডি-চেকের আগেই ব্যয়বহুল এ উড়োজাহাজ দুটি বিদায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএম মোসাদ্দিক আহমেদ এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বহরের দুটি এয়ারবাস ফেজ আউট করা হবে। ফ্লাইট শিডিউলও সেভাবে সাজানো হয়েছে। একইভাবে উড়োজাহাজ দুটি বিক্রির জন্য যে দরপত্র ছাড়া হয়েছিল, সেখানেও সেপ্টেম্বরের শেষে হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নিয়মিত ফ্লাইট শিডিউলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্য ৪৫৪ আসনের একটি বোয়িং-৭৪৭ উড়োজাহাজ লিজ নেয়া হচ্ছে।

আগামী ৪ আগস্ট শুরু হচ্ছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট, যা চলবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হবে ১৭ সেপ্টেম্বর আর শেষ ১৬ অক্টোবর। এ বছর প্রায় ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। হজযাত্রীর অর্ধেক পরিবহন করবে বিমান। হজ যাত্রী পরিবহনের জন্য লিজের উড়োজাহাজ, একটি এয়ারবাস এ-৩১০-৩০০ এবং দুটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজকে নির্ধারিত রাখবে বিমান।

উল্লেখ্য, দুটি এয়ারবাস এ-৩১০-৩০০ উড়োজাহাজ বিক্রি করতে গত ২৪ মে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বিমানের করপোরেট প্ল্যানিং শাখার মহাব্যবস্থাপক আব্দুর রহমান ফারুকী স্বাক্ষরিত ওই দরপত্রে বলা হয়েছে, এয়ারবাস এ-৩১০-৩০০ উড়োজাহাজ দুটি ইঞ্জিন, প্রপেলার, এপিইউ এবং ল্যান্ডিং গিয়ারসহ বিক্রি করা হবে। দুটি উড়োজাহাজই উড্ডয়ন সক্ষম ও ফ্লাইট পরিচালনার উপযোগী। উড়োজাহাজ দুটি আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ হস্তান্তর করবে বিমান, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

বিমানের বহরে এয়ারবাস-৩১০ উড়োজাহাজ যুক্ত হয় ১৯৯০ সালে। সে সময় সম্পূর্ণ নতুন অবস্থায় দুটি এয়ারবাস-৩১০ কেনা হয়। এর মধ্যে একটি উড়োজাহাজ দুবাইয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে অচল হয়ে যায়। পরে আরো একটি এয়ারবাস-৩১০ উড়োজাহাজ পাঁচ বছরের চুক্তিতে লিজ নেয়া হয়, পরবর্তীতে যা কিনে নেয় বিমান। এ উড়োজাহাজটি উড্ডয়ন অনুপযোগী হয়ে প্রায় দুই মাস সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে পড়েছিল।

এছাড়া ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অন্য একটি এয়ারবাস-৩১০ উড়োজাহাজের বডিতে ফাটল ধরে। ওই সময় উড়োজাহাজটিতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছিলেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কয়েক বছর ধরে বিমানের ভেতর থেকেই ব্যয়বহুল এসব উড়োজাহাজ বহর থেকে বাদ দেয়ার কথা ওঠে। এরই অংশ হিসেবে প্রথমে ডিসি-১০ বাদ দেয়া হয়। এখন বাদ দেয়া হচ্ছে এয়ারবাস-৩১০।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com