হঠাৎ করেই সেন্টমার্টিন আইল্যান্ডে (পর্ব-১)

প্রকাশিত: ১:৫৩ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৬

হঠাৎ করেই সেন্টমার্টিন আইল্যান্ডে (পর্ব-১)

Ahsan (1)রাজন চন্দ্র দেব………………………..

ভ্রমণ গল্প / ট্র্যাভেল শোঃ প্রারম্ভঃ আমরা অনেকেই ভ্রমণ পিপাসু। সারা বাংলাদেশ ঘুরে দেখার, নিজের দেশের সীমানা দেখার স্বপ্ন যারা দেখে তাদের হয়তো জানা হয়ে যাবে কিভাবে ঘুরে আসতে পারেন আপনার পছন্দের তালিকাভুক্ত জায়গাগুলো  অথবা পড়া হয়ে যাবে একটি ভ্রমণ গল্প আর সাথে সাথে আপনার  সেণ্টমার্টিন আইল্যান্ডের কিছু রোমাঞ্চকর স্মৃতি চারণ। “হঠাৎ করেই সেন্টমার্টিন আইল্যান্ডে” শিরোনামে এবারের পর্বটি লেখেছেন রাজন চন্দ্র দেব, আগামী পর্ব আমরা হয়তো জানবো আরো রোমাঞ্চকর ভ্রমনটির কাহিনী এই ভ্রমণের অন্য কোন লেখক পর্যটকের কাছে থেকে। আর হ্যাঁ, এই গল্পের সব চিত্র ধরন করে যিনি অধিক চিত্রের আড়ালে রয়ে গেছেন তিনি অনিক দাস তাকে দিলাম ঐ অজানা নীলের সামনে দাঁড়িয়ে বিশাল সমুদ্রের একা দাবিদার হওয়ার অধিকার।

-শুভ অপরাহ্নঃ  আহসান আহসানুল হাবিব , সাহিত্য সম্পাদক , সুরমা মেইল ডটকম।

Ahsan (3)

পৃথিবীতে সব কাজ ভেবে চিন্তে করা হয়না।কিছু জিনিস হঠাৎ করেই হয়ে যাই।আর সেই কাজে রোমাঞ্চটা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকে। তখন ডিসেম্বর মাস।সিলেট শহরে তখন মাঝারি শীত।সকালের কুয়াশায় মোড়ানো চারপাশ। সেদিন ছিলো কোন এক বন্ধের দিন।সকাল বেলা চাদর মুড়ি দিয়ে বেরিয়েছি।গন্তব্য বন্ধু শাওনের বাসা।শাওনের সাথে দেখা হলে জানতে পারি রাঙামাটি যাওয়ার প্ল্যান হচ্ছে। তার মুখে নাফাকুম,বগা  লেক,কিওক্রাডাং এর বর্ণনা শুনে বেশ শিহরিত হলাম কিন্তু নিজের ফিটনেসের কথা চিন্তা করে না করে দিলাম।কিন্তু বাসায় এসে মন সায় দিলনা, আবার যাওয়ার সাহসও করতে পারছিলাম না। যাই হোক, বেশ অনেকগুলো ডকুমেন্টারি আর হাজারো জল্পনা কল্পনা শেষে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই  ফেললাম। যাবো, আমিও যাবো।

ফোন দিলাম বন্ধু শাওনকে। কিন্তু ফোন দিতেই বাধলো বিপত্তি। জানতে পারলাম রাঙামাটিতে নির্বাচন তাই যাওয়া হচ্ছেনা আর তাই সেও যাচ্ছেনা।যেহেতু আমাদের সফরসঙ্গীদের সবাই ছিলো ঢাকার বাসিন্দা একমাত্র আমি আর শাওন সিলেট থেকে যাওয়ার কথা ছিলো সেহেতু যখন শাওন যাচ্ছেনা তাই গেলে আমার একা যেতে হবে।কিন্তু কোথায় যাবো সেটাই তো জানিনা। রাত নয়টায় জানতে পারলাম আমরা সুন্দরবন যাচ্ছি কিন্তু পরক্ষণে আনুমানিক রাত ২টার দিকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো গন্তব্য সেন্টমারটিন। যেহেতু এর আগে কখনোই সিলেটের বাইরে ঘুরতে যাওয়া হয় নাই তাই আমার কাছে রাঙামাটি-বান্দরবন বা সুন্দরবন কিংবা সেন্টমারটিন সবই নতুন। অংকনের কাছ থেকে জানতে পারলাম প্রতিক সিলেট আছে । আমি।তার সাথে আমিও পরেরদিন সকাল নিজের তলপিতল্পা নিয়ে রওয়ানা দিলাম। কিন্তু সকাল ১০টায় যাওয়ার কথা থাকলেও সারাশহর ঘুরাঘুরি করে বিকাল পৌনে পাচটায় আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। গাড়িতে উঠেই প্রতিক লম্বা ঘুম দিলো আর আমি জেগে জেগে সেন্টমারটিন সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিলাম।যাই হোক রাত সাড়ে ১০টায় আমরা পৌছালাম ঠিকই। যদিও প্রতিকের ঘুমের কারণে আমাদের খিলক্ষেত নামার কথা থাকলেও নামতে হয়েছিলো বিশ্বরোড। পরে হেটে হেটে আমরা খিলক্ষেত প্রতিক অনিক অংকনদের ফ্ল্যাটে পৌছালাম।যেখানে পরেরদিন সকালে বের হবার কথা ছিলো সেখানে টিকেট সল্পতা আর বাজেটের পুরোপুরি হিসাব না পাওয়ায় পরেরদিন যাওয়া হবেনা সিদ্ধান্ত হলো।ঠিক হলো তাদের ফ্ল্যাটের একমাত্র  তন্ময় যাকে আমরা আদর করে গুলআলু বলে ডাকি আর পার্থ এ দু জন যাচ্ছে না।আলুর না যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় যুক্তি হলো যেহেতু তার পূর্বপুরুষদের কেউই যুবক বয়সে দেশভ্রমণ করেননি তাই সেও সেই ধারা বজায় রাখতে চায় আর ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে পার্থ যাচ্ছেনা। ঠিক হলো  আমরা মোট পাঁচজন যাচ্ছি।আমি,প্রতিক,অংকন,অনিক আর শচিন।তবে আমাদের আরেক বন্ধু অভি আসলেও আসতে পারে।সে আসতে একটু অনিহা প্রকাশ করছিলো কারণ যেহেতু তার আমেরিকা যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ আর সাতারটাও তার অজানা তাই শেষমুহুর্তে সে কোন রিক্স নিতে চায়না,স কোন দুর্ঘটনা ছাড়া আমেরিকা পৌছাতে চায়। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে গোছালো ছিলো শচিন তাই তার উপর হিসাবনিকাশের দায়িত্ব পড়লো। আর তার সাথে কলাবাগানের বাসমালিকদের অনেকের পরিচয় ছিলো তাই বাজেটটাও সেই ঠিক করলো।বাজেট ঠিক হলো ৪৫০০ করে। আমার আর অনিকের দায়িত্ব পড়লো টিকেট কাটার।আমরা যখন টিকেট কাউন্টারে তখন জানলাম প্রতিক আর শচিনের জোরাজুরিতে অভি যেতে রাজি হয়েছে,সে রাতে ঢাকা পৌছাবে। আমরা আনুমানিক ৯০০ টাকা করে হানিফ পরিবহনের ঢাকা-টেকনাফ বাসের টিকেট আর ৭০০ টাকা করে এম ভি কুতুবদিয়া জাহাজের টেকনাফ সেন্টমারটিনের টিকেট কাটলাম। ঠিক হলো পরের দিন ৩টায় আমরা খিলক্ষেত থেকে রওয়ানা হবো আর সন্ধ্যা সাতটায় কলাবাগান থেকে আমাদের বাস।যাই হোক পরেরদিন আমরা সঠিক সময়ে বের হয়ে গেলাম।সন্ধ্যা সাতটায় আমরা হানিফ পরিবহণের মিনি বাসে উঠলাম।রাত সাড়ে নয়টায় আমরা সায়েদাবাদে পৌছালাম আর পৌনে ১০টায় আমরা হানিফ পরিবহণের নির্ধারিত বাসে উঠলাম।Ahsan (2)

আসন বিন্যাস পাশাপাশি না হওয়াতে বেশ এলোমেলো ভাবেই বসতে হলো আমাদের।আমি,অনিক অংকন বসলাম একবারে পেছনের সিটে। প্রতিক আর অভি মাঝামাঝি আর শচিন একাকি বসলো একেবারে সামনের সারিতে অনেকটা অসহায়ের মতো।যেখানে বাইরে মোটামুটি ঠান্ডা সেখানে আমরা পেছনের সিটে বসে মনে হচ্ছিলো হিটারের ভেতরে বসে আছি।আমরা রীতিমত ঘামছিলাম।বাস ছুটে চলছিলো ঢাকা কুমিল্লা মহাসড়ক হয়ে। যতই স্পিড বাড়ছিলো পেছনে বসাটাও ততোই কষ্টসাধ্য হচ্ছিল।একেকটি স্পিড বেকার কিংবা হাল্কা খানা খন্দতে যখন বাসের পেছনের চাকা পড়ছিল আমরা পেছনের দুই সারি রীতিমত লাফাচ্ছিলাম।যাই হোক খোশগল্প আর অনিকের কেনা পপকর্ণ আর বাসে বসে রোলার কোষ্টারের মজা নিতে নিতে আমরা কখন যে কুমিল্লার হাইওয়ে ইন রেস্টুরেন্ট এ পৌছালাম বুঝতেই পারিনি।রাত তখন আনুমানিক ১২টা। নেমেই আমরা হাত মুখ ধোয়ে রাতের খাবার সেরে নিলাম।যদিও বাজেটের সল্পতার জন্য আমরা জনপ্রতি একটি করে বার্গার দিয়েই রাতের খাবারটা শেষ হলো।খাবারের মানের তুলনায় দামটা অত্যাধিক আর ওয়েটারদের ব্যবহারো খুব একটা ভালো না। ২০ মিনিট বিরতি শেষে আমরা আবার গাড়িতে উঠলাম।এবার শচিন আর সামনে বসতে চাচ্ছিল না।তাই আমি শচিন সিট বদল করলাম। একাকিত্ব আমার বেশ পছন্দ।সেহেতু আমি রাজি হয়ে গেলাম।আর সামনের সিটে বসলে জার্নিটাও বেশ উপভোগ করা যায়। এবার গাড়ির গতি বেশ বাড়লো।গাড়ি ছুটে চললো কুমিল্লা চট্টগ্রাম হাইওয়ে ধরে।গাড়ি চালক বেশ পটু। চার লেনের রাস্তায় এর আগে খুব একটা জার্নি করা হয়নি তাই রাস্তায় চালকের প্রতিটা ঝুঁকিপূর্ণ অভারটেক বেশ রোমাঞ্চের সৃষ্ট করলো।কয়েকবারতো এমনো মনে হয়েছে এই বুঝি দুটি বাসে ধাক্কা লেগে গেলো।যাই হোক খুব বেশি আর জেগে থাকয়া যায়নি। আশপাশটা দেখতে দেখতে আর গাড়ির ডানেবামের দুলানিতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি তা বুঝতেই পারিনি।

যখন ইনানি রিসোর্টে নামলাম ঠান্ডায় আমরা কাঁপছিলাম।আমরা এতগুরুতরভাবে কাঁপছিলাম যে দিয়াশলাইয়ের আগুন দিয়ে সিগারেটটাও জ্বালানোও হয়তো সম্ভব ছিল না।

যাত্রাপথে দ্বিতীয়বারের মতো গাড়ি থামলো উখিয়ার ইনানি রিসোর্টে। ঘড়িতে তখন রাত প্রায় ৪টা।গাড়ি থামতেই পেছন থেকে এসে শচিন এসে ডাক দিলো।আমি আধোঘুমে চেয়ে দেখলাম গাড়ি থেমেছে। তবে আমাকে ঘুম থেকে উঠাতে পারলেও অভি আর প্রতিককে ঘুম থেকে তুলা গেলোনা। অবশেষে আমি, শচিন, অনিক, অংকন গাড়ি থেকে নামলাম।নেমেই শীতের তীব্রতা দেখে আমরা হতবাক।সিলেট,ঢাকা এমনকি যখন যাত্রাপথে যখন কুমিল্লায় নামলাম তখনো এতো ঠান্ডা লাগেনি। যাই হোক যেহেতু আমাদের টুরের অর্থব্যবস্থাপনা শচিনের কাঁধে সেহেতু ঠান্ডার মধ্যেও একটু গরমের স্পর্শের জন্য তার ডাক পড়লো চা অর্ডার দেওয়ার জন্য। বিপত্তি বাধলো এখানেই।যখন আমরা চায়ের অর্ডার দিতে গেলাম ওয়েটার জানালো গ্যাস নেই,তাই কফি অর্ডার দিতে হবে।হাইওয়ে হোটেলগুলোতে এমনিতেই দাম একটু চওড়া থাকে তবে এখানের প্রতিকাপ কফির মূল্য শুনে আমরা টোটাল বাজেটের কথা চিন্তা করে কফি আর খেলাম না।যদিও শচিন ছাড়া আমরা বাকি তিনজন বিকল্পভাবে একটু গরমের স্পর্শ পেয়েছিলাম।অল্প সময়েই তীব্র শীতে বিদ্ধস্থ হওয়ার পর গাড়ির হর্ন শুনে আমরা গাড়িতে উঠলাম।শচিন, অনিক, অংকনের সিটগুলো পাশাপাশি ছিলো, আমিই ছিলাম একা। আমার সিট ছিলো এ১।একটা লম্বা ঘুমের পরে আর ঘুম আসছিলোনা তাই সিদ্ধান্ত নিলাম এখান থেকে টেকনাফ পর্যন্ত জেগেই কাটাবো। আমার সিটটি সামনের সারিতে হওয়ায় ড্রাইভারের প্রতিটি অভারটেকিং থেকে শুরু করে সব কিছুই খুব স্পষ্টভাবেই চোখে পড়ছিলো।তবে খানিকটা হতাশ হতে হলো কুমিল্লা থেকে বের হওয়ার সময় যে পরিমাণ গাড়ি ছিলো তার অর্ধেক গাড়িও এখানে ছিলোনা।তবুও প্রতিটি অভারটেকই অদ্ভুত আনন্দ দিচ্ছিলো।মনে হচ্ছিলো যেনো গাড়ির স্টিয়ারিং এ আমিই বসে আছি। হঠাৎ কানের হেডফোন খুলে শুনতে পেলাম পুরোনো দিনের হিন্দি গান বাজছে।বুঝা গেলো আমাদের হানিফ এয়ারলাইনসের পাইলট সাহেব বেশ আমোদপ্রবণ। হিন্দি গান শুনতে শুনতে আর ধারাবাহিকভাবে সিগারেটের ধোয়া উড়াতে উড়াতে গাড়ি ছুটিয়ে চলছিলেন সর্বোচ্চ গতিতেই। যাই হোক খুব বেশি আর জেগে থাকতে পারলামনা। ঘুমের অতলে হারিয়ে গেলাম।মাঝে মাঝে ঘুমের ঘোরে যখন চোখ খুলেছি তখন ফাকা রাস্তা আর চালকের সিগারেটের ধোয়াই চোখে পড়েছে।

Ahsanসকাল ৬:৩০মিনিট,ঘুম ভাঙলো। গাড়ি চলছিলো তবে আগের গতিটি আর নেই।অনেকটা রিক্সার গতিতে আমাদের গাড়িটি এগুচ্ছিলো।গাড়ির সামনে দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখলাম কোন কিছু দেখা যাচ্ছেনা। চারপাশে শুধুই কুয়াশা।আকাবাকা ছোট পথ ধরে আমাদের গাড়িটি ধীরে ধীরে এগুচ্ছিলো।মাঝেমাঝে দুয়েকটি গাড়ি দেখা যাচ্ছিল যখন দুটি গাড়ি বেশ কাছাকাছি।।গাড়ির গতি দেখে আমাদের সাথে গাড়িতে থাকা আরেকগ্রুপ বেশ টেনশনে পড়ে গেলো।তাদের সাথে থাকা মেয়েগুলো একটু পরপরই চালককে জিজ্ঞাস করছিলো,”মামা,আমরা সিপ পাবো তো?” ড্রাইভার মামা সব জেনেও আমাদের অতীতের নানা তত্ত্ব দিতে লাগলেন। বললেন “এর আগে মাত্রদুবার এমনটি হয়েছিলো যে সিপ ছাড়ার আগে গাড়ি পৌছায়নি।” আমরা অতীতের তত্ত্ব মিলিয়ে খানিকটা সস্তি পেলাম। আমরা একটি স্থানীয় বাজার অতিক্রম করছিলাম তখন গাড়ি একটু স্লো করে দুজন লোককে গাড়িতে তুললো।তাদের যাত্রা টেকনাফের অদূরে।বুঝলাম তারা স্থানীয়। উঠেই তারা বাসের সুপারভাইজারের সাথে খোশগল্পে মেতে উঠলো।গ্রামের লোকগুলোর সরলতা দেখে বেশ ভালই লাগছিলো।তাদের গল্পে আশেপাশের অনেক ইতিহাস জানা হচ্ছিলো। যদিও লোকগুলো স্থানীয় ছিলো তবুও তারা শুদ্ধ স্থানীয় দুভাষার মিশ্রণে কথা বলছিলো তাই অনেকটাই বোধগম্য হচ্ছিল। কিছু সময় যেতেই আশপাশটা একটু পরিষ্কার হলো।গাড়ির গতিও একটু বাড়লো।যেতে যেতে হঠাৎ একটি ঢালু সড়ক চোখে পড়লো। মূল রাস্তা থেকে বেশ অনেকটা নিচে নেমে গেছে।ড্রাইভার মামা গাড়ি থামিয়ে কিযেনো একটা হিসেব মিলিয়ে নিলেন পরে আস্তে করে ঢালু মেঠো পথে নামিয়ে দিলেন। যাত্রার এপর্যায় এ একটু ভয় লাগছিলো।যাই হোক ঢালু মেঠো পথ আমরা কোন দুর্ঘটনা ছাড়াই পাড়ি দিলাম।এবার গাড়ির গতিও বাড়লো আশপাশো বেশ পরিষ্কার হলো।আমাদের আর সহ্য হচ্ছিলোনা।কখন পৌছাব সেই অপেক্ষায় ছিলাম।অবশেষে আমরা সব অপেক্ষার পালা শেষ করে সকাল আটটার দিকে টেকনাফ জাহাজ ঘাটে পৌছালাম।           (বাকী অংশ – আগামী পর্বে )

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com