সিলেট ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:২৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে ১০ দিনেও খোঁজ মেলেনি এক ব্যবসায়ীর। এদিকে তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে আরেক মাদ্রাসা ছাত্র। নিখোঁজ ব্যবসায়ী ফেরদৌস ও মাদ্রাসা ছাত্র ইকবালের পরিবারে চলছে কান্নাররোল। কিন্তু পুলিশ আত্মীয়-স্বজন কেউ নিখোঁজদের খবর দিতে পারছে না।
বাহুবল উপজেলার চন্দনিয়া গ্রামের ফারুক আহমেদ-এর পুত্র ফেরদৌস আহমদ (২৮) স্থানীয় নন্দনপুর বাজারে ব্যবসা করেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘মেসার্স শেখ এন্টারপ্রাইজ’। ১৩ মার্চ তিনি রাত সাড়ে ৮টায় দোকানের ম্যানেজার মোঃ সফিক মিয়াকে দোকান বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে দোকান থেকে বের হন। সময়মত তিনি বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ফোনটি বন্ধ পান। এরপর থেকে শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি। কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে ব্যবসায়ী ফোরদৌসের পিতা ফারুক আহমেদ গত ১৯ মার্চ বাহুবল মডেল থানায় এ ব্যাপারে জিডি এন্ট্রি করেন। ওই দিনই তদন্তকারী কর্মকর্তা বাহুবল মডেল থানার এসআই মোঃ জিয়াউদ্দিন নিখোঁজ ফেরদৌসের দোকান কর্মচারী শফিক মিয়া ও পার্শ্বে দোকানে মালিক জুয়েল মিয়াকে আটক করেও ছেড়ে দেন। এরপর আর কোন পুলিশী তৎপরতাও নেই বলে অভিযোগ নিখোঁজ ফৌরদৌসের পরিবারের সদস্যদের।
এদিকে, বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের খান বাড়ির ওয়াহিদ খান-এর পুত্র সুমেল খান ইকবাল (১৪) ২০ মার্চ নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে বুধবার তার মা মোছাঃ শাহেনা খাতুন চুনারুঘাট থানায় এ ব্যাপারে জিডি এন্ট্রি করেছেন।
শাহেনা খাতুন জানান, তার ছেলে ইকবাল চুনারুঘাট উপজেলার করিমপুর হাফিজিয়া মাদরাসায় হিফজ বিভাগে লেখাপড়া করে। ১৭ মার্চ সে মাদরাসা থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসে। ছুটি কাটিয়ে ২০ মার্চ সকালে বাড়ি থেকে মাদরাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইকবাল মাদরাসার নিকটবর্তী তার আত্মীয় মাওলানা ফারুক মিয়ার বাড়ি যায়। সেখান থেকে কাপড়ছোপড় নিয়ে সে মাদরাসার উদ্দেশ্যে পুনরায় রওনা হয়। দুপুরে ইকবালের মা শাহেনা খাতুন মাদরাসায় ফোন দিয়ে জানতে পারেন তার ছেলে সেখানে পৌঁছেনি।
বিষয়টি তিনি তার খালাত ভাই মাওলানা ফারুক মিয়াকে অবগত করলে তিনি মাদরাসায় গিয়ে জানতে পারেন সে মাদরাসায় পৌঁছেনি। এরপর থেকে ইকবালের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি।
এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার ওসি মোমারফ হোসেন জানান, ব্যবসায়ী ফেরদৌস আহমেদের ব্যাপাওে জিডি হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ, ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয় তালুকদার পঞ্চায়েতের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আবদাল মিয়ার ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭), আব্দুল আজিজের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে সুন্দ্রাটিকি আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার নুরানি প্রথম শ্রেণির ছাত্র ইসমাইল মিয়া (১০)। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বালিচাপা অবস্থায় ওই চার শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রধান উপদেষ্টাঃ ফয়েজ আহমদ দৌলত
উপদেষ্টাঃ খালেদুল ইসলাম কোহিনূর
উপদেষ্টাঃ মোঃ মিটু মিয়া
উপদেষ্টাঃ অর্জুন ঘোষ
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি