‘হাওয়ার অঞ্চলে কৃষকের মুখে সোনালী হাঁসি চাই’

প্রকাশিত: ৯:২৮ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২৩

‘হাওয়ার অঞ্চলে কৃষকের মুখে সোনালী হাঁসি চাই’

রওশন্ জলিল কোরেশী :
হাজার বছরের পৌরানিক লোককথার মায়াবী শিহরণ হাওর।হাওর-বাওর, আউল-বাউল আর মরমী কবিদের চারণ ভূমি হিসেবে খ্যাত সুরমা, কুশিয়ারা, খোয়াই, ধলাই, ধনু, কালনী, মগরা, এতসব নদী। সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, বি-বাড়িয়া, মৌলভিবাজার, নেত্রকোনাও সিলেট এই সাতটি জেলার সিংহ এলাকার হাওর-বাওর। যাকে বর্তমান সাংসদরা ভাটি অঞ্চল বা হাওর অঞ্চল বলে থাকেন।

 

ওইসব ঐতিহ্যবাহি নদীর পাশে রয়েছেন- হাছন, রাধারমণ, শীতালং শাহ, দূরবীন শাহ, বকিব শাহ, শাহ আব্দুল করিমসহ অসংখ্য আধ্যাত্মিক গুরু সাধক। যাদের পদাবলি আজও বিশ্বজুড়ে নন্দিত-সমাদিত।

 

হাওর অঞ্চলে রয়েছে আড়াই তিন কোটি লোকের বসবাস। ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক অবস্থার পরিবর্তনের ফলে হাওর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে সর্বত্র লেগে থাকে কৃত্রিম সংকট।

সরকার আসে সরকার যায়। কিন্তু ভাটি অঞ্চল কিংবা হাওর অঞ্চলের কৃষকের ভাগ্যের চাকার কখনও পরিবর্তন হয় না। আমাদের কৃষক-কৃষানীরা অত্যন্ত কষ্ট সাধন করে ফসল ফলায় কিন্তু উপযুক্ত মজুরি কখনও তাদের ভাগ্যে জুটেনা।তাই তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন নেই।

সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্বেও সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের কিছু সংখ্যক কর্তা ব্যক্তিদের অব্যবস্থাপনার কারণে সহজ-সরল কৃষকরা প্রতিবছর লোকসান দিয়ে আসছে।

 

হাওর অঞ্চলের কৃষকদের প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা করে, তাদের উৎপাদিত ধানসহ বিভিন্ন শস্যের ন্যায্যমূল্য প্রদানে সার্বিক সহযোগিতায় গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

 

আমরা, “হাওয়ার অঞ্চলে কৃষকের মুখে সোনালী হাঁসি চাই”।

 

লেখক : কবি ও সাংবাদিক


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com