সিলেট ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার হামহাম জলপ্রপাত চার দিন যাবৎ পর্যটকদের জন্য বন্ধ রয়েছে। গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক বয়স্ক পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এরপরেই স্থানীয় বন বিভাগ শনিবার থেকে হঠাৎ করেই হামহাম জলপ্রপাতে যেতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বন বিভাগের দাবি, দুর্গম জলপ্রপাত এলাকায় গিয়ে বয়স্ক পর্যটকরা নানা রকম দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। গত চার বছরে তিন পর্যটকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। গত এক বছরে জলসুন্দরী হামহাম জলপ্রপাতে মানুষের আনাগোনাও অনেক বেড়েছে। এতে করে, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে জায়গাটি। তাই, প্রাথমিকভাবে পর্যটকদের যেতে বারণ করা হচ্ছে।
এ ঘটনার পরই সিলেট বন বিভাগের কমলগঞ্জের রাজকান্দি রেঞ্জ কার্যালয়ের মৌখিক নির্দেশে হামহাম জলপ্রপাতে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তার প্রেক্ষিতে কুরমা বন বিট শনিবার থেকে হামহামে কোনো পর্যটক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এ ছাড়া কলাবন এলাকার দোকানপাটও বন্ধ রাখা হয়েছে। হঠাৎ এ নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়েছে পর্যটকরা। চার দিনে শত-শত পর্যটক ফিরে গেছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসে দুই বছর পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ছিল। হামহাম জলপ্রপাতটিতেও কেউ ঘুরতে আসেনি। বনের প্রাণ-প্রকৃতি ফিরে পেয়েছিল আপন চেহারায়। তবে চলতি বছর থেকে প্রায় প্রতিদিনই শত শত পর্যটক এখানে ভিড় করে। গত শুক্রবার সকালে হামহাম জলপ্রপাতে যেতে ১৫ জন পর্যটকের একটি দল বনের ভেতর রওনা দেয়। তবে, ফেরার পথে হঠাৎ এক বয়স্ক পর্যটকের আকস্মিকভাবে বুকে ব্যথা শুরু হলে, তিনি মাটিতে ঢলে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কুরমা বিট কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার একজন বয়স্ক পর্যটক বনের ভেতরেই মারা যান। হামহাম জলপ্রপাত দুর্গম পথ। তাই, সহকারী বন সংরক্ষক মহোদয়ের নির্দেশে শনিবার থেকে হামহাম ঝরনায় কোনো পর্যটককে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কমলগঞ্জের রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত প্রাকৃতিক জলপ্রপাত হামহাম। জলপ্রপাতটি ২০১০ সালের শেষের দিকে দুর্গম জঙ্গলে ঘুরতে আসা, একদল পর্যটক ১৬০ ফুট উচ্চতার ঝরনাটি আবিষ্কার করে। তারপর থেকে সারা দেশের পর্যটকরা প্রাকৃতিক এ ঝরণা দেখতে ভিড় করে।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি