সিলেট ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৫
খেলাধুলা ডেস্ক :
ওয়ানডে সিরিজ জয়ের উচ্ছ্বাস নিয়ে চট্টগ্রামে পা রাখেন সাইফ হাসানরা। তবে ফরম্যাট, উইকেট ও ভেন্যু পরিবর্তনে সঙ্গে ফলও উল্টে যায়। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬ রানে জিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করা ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৫ রান। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারের দুই বল আগে ১৬ রান দূরে থেকে থামে বাংলাদেশের যাত্রা। এদিন বাংলাদেশের সাত জন ব্যাটার ক্যাচ আউটের শিকার হয়েছেন।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে তেমন সুবিধা করতে পারেননি আলিক আথানেজ ও ব্র্যান্ডন কিং। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও ৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে চতুর্থ ওভারেই ১৭ রান দেন তাসকিন আহমেদ।
পরে রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিবের বলে ছক্কা মেরে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন দুই ওপেনার। তবে সফল হননি। রিশাদের বলে রিভার্স স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ২৭ বলে ৩৪ রান করা আথানেজ।
তিন নম্বরে নেমে শুরু থেকেই চমৎকার ব্যাটিং করেন শাই হোপ। তবে অন্যপ্রান্ত থেকে সমর্থন পাননি। ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে পরপর দুই বলে কিং ও শেরফান রাদারফোর্ডকে আউট করেন তাসকিন। ৩৩ রান করতে ৩৬ বল খেলেন কিং।
এরপর দলকে একাই টানেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। চতুর্থ উইকেটে তার সঙ্গে জুটি বাধেন এই ফরম্যাটে শততম ম্যাচ খেলতে নামা রভম্যান পাওয়েল। কিন্তু দ্রুত রান করতে পারেননি। এক পর্যায়ে ১৮ বলে মাত্র ৯ রানে খেলছিলেন তিনি।
১৬তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে থার্ডম্যানে পাওয়েলের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। শেষ দিকে সেটিরই মাশুল দিতে হয় বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে ছক্কা মারেন পাওয়েল।
শেষ ওভারে সাকিবের বলেই টানা ৩টি ছক্কা মেরে দলকে ১৬০ রান পার করান অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। মুখোমুখি শেষ ১০ বলে তিনি করেন ৩৫ রান।
৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তাসকিন। এর মধ্যে ২ ওভারেই তিনি দেন ৩২ রান। কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম।
ক্যারিবিয়ানদের ১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ঝড়ের আভাস দেন তানজিদ হাসান। তার সে ঝড় থামে অল্পতেই। দ্বিতীয় ওভারে জেডন সিলসের বল স্বজোরে আঘাত করেন তানজিদ। মিড অনে পেছন দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রোমারিও শেফার্ড। ৫ বলে ১৫ রানে ফেরেন তামিম।
ওয়ান ডাউনে নামা লিটন এলেন আর গেলেন। ইনজুরি থেকে ফিরে সেভাবে রাঙাতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। আকিল হোসেনের বলে তাঁকেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। পঞ্চম ওভারে দলকে আরও বিপদে ফেলেন সাইফ। আস্থার প্রতিদান দেওয়া সাইফও ছিলেন নির্বিষ।
আকিল হোসেন ফুল লেংথের বলটাকে সরে সুইপ করেছিলেন সাইফ। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলেছেন। শর্ট ফাইন লেগে দাঁড়ানো শেফার্ড বল মুঠোবন্দী করার জন্য যেন ওত পেতে ছিলেন। তানজিদ হাসান, লিটন দাসের পর সাইফ হাসান—দলীয় ৩৮ রানে ব্যাটিং অর্ডারের শীর্ষ ৩ ব্যাটসম্যানকে হারায় বাংলাদেশ।
পাওয়ার প্লেতে আরও একটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শামীম হোসেন ক্রিজে নামার পর একে একে তিনটি বল মোকাবিলা করেন। বিপত্তি ঘটে চতুর্থ বলে। জেসন হোল্ডারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাত্র এক রান করেন। দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে দেন নুরুল হাসান সোহান। খ্যারি পিয়েরের বলে কাট করতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। ১০ বলে তিনি করেন মাত্র ৫ রান।
নুরুল ফেরার পর তানজিদ হাসান দায়িত্ব বুঝে নেন। জাতীয় দলের পেসার চেষ্টা চালিয়ে যান উইকেটে থিতু হতে। ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে একটু স্বস্তি দেন তিনি। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ২০ রান এবং নাসুম আহমেদের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১১৭ রানে তার ফেরাতে দলের সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে। মূলত ওখানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের স্বপ্ন। শেষ দিকে নাসুম একটু চেষ্টা করেছেন। তাতে কেবল নিজের নামের পাশে ২০ রান যোগ হয়েছে। আদতে দলের জয়ে কোনোরকম সম্ভবনা তৈরি হয়নি শেষ পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থামে ১৪৯ রানে।
সিলস-হোল্ডার সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট তোলেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট ছিল আকিল হোসেনের। তিনি দুটি উইকেট তোলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৬৫/৩ (আথানেজ ৩৪, কিং ৩৩, হোপ ৪৬, রাদারফোর্ড ০, পাওয়েল ৪৪; নাসুম ৪-০-১৫-০, তাসকিন ৪-০-৩৬-২, সাকিব ৪-০-৪৭-০, মোস্তাফিজ ৪-০-২৪-০, রিশাদ ৪-০-৪০-১)
বাংলাদেশ: ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ (সাইফ ৮, তামিম ১৫, লিটন ৫, হৃদয় ২৮, শামীম ১, সোহান ৫, সাকিব ৩৩, নাসুম ২০, রিশাদ ৬, তাসকিন ১০, মোস্তাফিজ ১১*; আকিল ৪-০-২২-২, সিলস ৪-০-৩২-৩, পিয়েরে ৪-০-৩৩-১, হোল্ডার ৪-০-৩১-৩, শেফার্ড ৩.৪-০-২৯-১)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬ রানে জয়ী
(সুরমামেইল/এএইচএম)
প্রধান উপদেষ্টাঃ ফয়েজ আহমদ দৌলত
উপদেষ্টাঃ খালেদুল ইসলাম কোহিনূর
উপদেষ্টাঃ মোঃ মিটু মিয়া
উপদেষ্টাঃ অর্জুন ঘোষ
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি