সিলেট ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০১৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ আইএস এবার ১২ বছরের এক মেয়েকে দিয়ে পাঁচ নারীকে হত্যা করিয়েছে। ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় নেইনাভা প্রদেশে গতকাল (বুধবার) বিকেলে এ পাশবিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে আরবি ভাষার নিউজ ওয়েবসাইট আস-সুমারিয়া।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সুমারিয়া জানিয়েছে, জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রিত মসুল শহরের নিকটবর্তী ঘাজলানি সামরিক ঘাঁটিতে এ পাশবিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত পাঁচ নারীর মধ্যে একজন ছিলেন ডাক্তার। আহত দায়েশ জঙ্গিদের চিকিৎসা করতে ‘অপারগতা’ প্রকাশ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই প্রথম ইরাক ও সিরিয়ায় তৎপর দায়েশ জঙ্গিরা নরহত্যার কাজে কোনো মেয়েকে ব্যবহার করল।
এর আগে দিনের শুরুতে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় কিরকুক প্রদেশের হায়োইজা শহরে নিজেদের ছয় জঙ্গিকে হত্যা করে দায়েশ। এসব জঙ্গি তাকফিরি এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ত্যাগ করে পালিয়ে যেতে চাইলে তাদেরকে শহরের একটি প্রধান স্কয়ারে জনসমক্ষে হত্যা করা হয়। তাকফিরি সন্ত্রাসীরা স্থানীয় কিছু বন্দুকধারীকে গুলি চালিয়ে ওই ছয় জঙ্গিকে হত্যার নির্দেশ দেয়।
২০১৪ সালের জুন মাসে দায়েশ সন্ত্রাসীদের হাতে ইরাকের নেইনাভা প্রদেশের প্রধান শহর মসুলের পতন হয়। বাগদাদ সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, দেশটির সেনাবাহিনী মসুল পুনরুদ্ধারের জন্য অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সৌদি আরব সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশটিতে যে ওহাবি মতবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তারই উগ্র রূপ হচ্ছে তাকফিরি মতবাদ। তাকফিরি জঙ্গিরা তাদের মতবাদের বাইরে ইসলামের অন্য সব মাজহাবকে কাফেরের মাজহাব বলে বিশ্বাস করে এবং এসব মাজহাবের অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হত্যা করাকে সৎকাজ বলে মনে করে। আই আর আই বি।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি