সিলেট ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ মধ্য নভেম্বরেই নির্বাচনের উপযোগী ২৪৫ পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের যে কোনো দিন হতে পারে ভোট গ্রহণ। তবে সব পৌরসভায় একই দিনে ভোট নেওয়া হবে কি-না সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ। ইসি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন বড় চ্যালেঞ্জ। এটা ইসির জন্য এক দুঃসাহসিক যাত্রা হিসেবেও আখ্যায়িত করছেন তারা।
কম থাকায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কাজ তারা শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই পৌর নির্বাচনের বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনীর খসড়া তৈরির কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আচরণবিধির খসড়ার কাজও চলছে। ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনী আইন (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২) আরপিওর আলোকেই পৌর নির্বাচনের বিধিমালা প্রস্তুত করা হবে। কারণ এবারের নির্বাচনের অনেকটা কাজ জাতীয় নির্বাচনের মতোই হবে।
গতকাল মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সমকালের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, নতুন পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনে কমিশনকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। সেটা ধরে নিয়েই সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হচ্ছে। তিনি জানান, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে পৌর নির্বাচনের ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। তবে একই দিনে সব পৌরসভার ভোট নেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে ৩২৩টি পৌরসভার মধ্যে এবার ২৪৫ পৌরসভায় ভোট নেওয়া হবে। ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) হিসাব অনুযায়ী ৩২৩ পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৯৯ লাখের মতো। এই ভোটারদের জন্য ব্যালট পেপার ছাপা নিয়েই চিন্তিত ইসি। ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী জানিয়েছেন, দলীয় প্রতীকে ভোট হলেও মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের জন্য তিন রঙের তিনটি ব্যালট হবে। সব ব্যালটেই দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি প্রার্থীর নাম উল্লেখ থাকবে। দলীয়ভাবে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধিমালা ও আচরণবিধিমালা সংশোধন করতে হচ্ছে। সেটা নির্বাচন কমিশনের হাতেই রয়েছে। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জন্য কিছুটা সময় হাতে পাওয়া গেলেও পৌর নির্বাচনের জন্য ইসিকে দ্রুতই প্রস্তুতির কাজ শেষ করতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে যত দ্রুত আইন প্রণয়নের কাজ শেষ হবে, ততই ইসির জন্য সুবিধা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি