৪৫ বছরে সাংবাদিক লতিফ নুতন

প্রকাশিত: ১:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০১৭

৪৫ বছরে সাংবাদিক লতিফ নুতন

হিরা মনি :: আজ প্রথম বেলা ২৪ ডটকমের প্রধান সম্পাদক,আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি’র সদস্য, আব্দুল লতিফ নুতন ৪৫ বছরে পা দিলেন। সাংবাদিক লতিফ নুতন সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার মছকাপুর গ্রামের আবুল হোসেন ও লুৎফুন নেহার খানমের পুুত্র। ভাই বোনের মাঝে সবার বড় লতিফ নুতন।

e

তিনি রাজনীতিবীদ,শিশু সংগঠক,সাংবাদিক। আজ তার জন্ম দিন। তার পিতা যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। পারিবারিক ভাবে রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম লতিফ নুতনের। তাই তিনি রাজনীতি রাজনীতিতে এসেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত হন। বঙ্গবন্ধু কন্যা,দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক একজন কর্মী হিসাবে কাজ করে যেতে চান মৃত্যুর পূর্ব মহুর্ত পর্যন্ত। ৮৮ সালে সিলেটে জাতির জনকের কন্যা,মাতৃতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনার পা ছেুয়ে সালাম করার সুযোগ পাওয়ার পর রাজনীতিতে উৎসাহ আরো অনুপ্রেরণা যোগায়।

03

তার শিক্ষা জীবন সিলেট শহরের সৈয়দ হাতিম আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু। তারপর চট্রগ্রামে একটি আবাসিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও সিলেট সরকারী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ৮৭ সালের শেষের দিকে পরিচন্ন রাজনীতিবীদ সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বিজিত চৌধুরীর হাত ধরে তার রাজনৈতিক আভিষেক ঘটে। পরবর্তীতে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্থ আর সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের একান্ত বিশ্বস্থ কর্মী হিসেবে লতিফ নুতনের রাজনৈতিক পদচারনা বেড়ে উঠে। আর বিজিত চৌধুরীর একান্ত স্নেহভাজন হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। তার দুই সহকর্মী সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আফসার আজিজ ও মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান আসাদের সার্বিক সহযোগিতা তাকে অনেক দূরে নিয়ে যায়। ৯২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট শহর শাখার যুগ্ম আহবায়ক হয়ে সিলেট শহরে ছাত্রলীগকে সুসংঙ্গঠিত করেন। ২০০৩ সালে সিলেট সদর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ত্ব পালন করেন। ২০০৩ ও ২০১৬ সালে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য হন।

22

স্বাধীনতা উত্তর জন্ম তাই সাম্যবাদী দলের সাবেক সভাপতি কমরেড আসদ্দর আলী তার নাম রেখেছেন নুতন। কিন্তু এই নুতন জীবনে রাজনৈতিক নির্যাতন ছিল পুরাতন ঘটনা। পড়েছেন বারবার রাজনৈতিক রোষানলে ২০০৪ সালে চারদলীয় জোট আমলে পুলিশের নির্যাতনে আহত হয়ে গ্রেফতার হন। এই গ্রেফতার ও নির্যাতন তার রাজনৈতিক পথ চলা কে ধমিয়ে রাখতে পারেনি। তাই আজও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি’র সদস্য হয়ে চষে বেড়াচ্ছেন সিলেট অঞ্চলে। তার মতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট মোল্লা মোঃ আবু কাওছার ও সাধারন সম্পাদক পংকজ নাথ এম.পি নেতৃত্বে সিলেট বিভাগের স্বেচ্ছাসেবকলীগকে শক্তিশালী করতে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে যাবেন।

17

বহুপ্রতিভার এই মানুষটির ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বর মাসে সাপ্তায়িক সূর্যোদয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু। একে একে দৈনিক রুপালী, দৈনিক মাতৃভূমি, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি, বার্তা সংস্থা নিউজ মিডিয়া, দৈনিক সিলেটের মানচিত্র, দৈনিক সবুজ সিলেটে কাজ করেছেন। দৈনিক সবুজ সিলেটের সহকারী বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে প্রথম বেলা টুয়েন্টি ফোর ডট কমের প্রধান সম্পাদক,অনলাইন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা। তাকে রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতায় প্রেরনা দেন তার ছোট ভাই মোস্তফা লিমন। সাংবাদিকতায় তিনি অনেক কৃতিমান,খ্যাতনামা সাংবাদিকের সান্নিধ্য লাভ করেছেন। তাদের মধ্যে খন্দকার মোজাম্মেল হক, নঈম নিজাম, স্বপন দাশ গুপ্ত, বিভু রঞ্জন সরকার, আতাউস সামাদ, সাবান মাহমুদ,দুলাল আহমদ চৌধুরী উল্লেখযোগ্য। সিলেটের আল-আজাদ,আহমেদ নুর,ইকরামুল কবির ইকু,অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ ফরিদী,আফম সাঈদ,আতাউর রহমান আতা। এক সময়ের সাংবাদিক এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলু অন্যতম।

DSC 0334 24 800 600 80 rd 255 255 255

সাংবাদিক লতিফ নুতন সিলেটে ৯৮ সালের দিকে আইটি ব্যবসা করেন। তার প্রতিষ্টিত প্রমি’স কম্পিউটার সিলেটে সাড়া জাগে। দেশের বহুল প্রতিষ্টিত আনন্দ আইআইটি সিলেটে দীর্ঘ ক’বছর পরিচালনা করেন। সিলেট শাখার পরিচালক ছিলেন। তিনি এ সময় দেশের আইটি’র প্রচারনার জন্য সিলেট ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত অনেক দৈনিকে নিয়মিত আইটি নিয়ে কলাম লিখেন।

7

শিশু সংগঠক লতিফ নুতন ১৯৯২ সালে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা সিলেট জেলা শাখার সভাপতি,পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শিশু সংগঠন করতে কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি অধ্যাপিকা শিরিন আক্তার মঞ্জু’র সহযোগিতা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাকে ডুবিয়ে রাখে। লতিফ নুতন তার হারানো মানিক কে উৎসর্গ করে একটি গান লিখেছেন-

দরদীয়া বন্ধু আমার
ভাবে বসে নিরলে
মানিক চিনে সাধন করলে
যায়না বিফলে ।

15

সাংবাদিক,রাজনীতিবীদ,আব্দুল লতিফ নুতন ঢাকায় ড্রয়িং রুম নাটকে ড.এনামুল হক,খালেদা আক্তার কল্পনা,ছিদ্দিক,কচি খন্দকার,মোনালিসার সাথে পুলিশের চরিত্রে অভিনয় অভিনয় করেছেন।

গল্পকার লতিফ নুতন আড্ডাকে প্রছন্দ করেন। গান শোনা তার অভ্যাস বাউল করিমের গান তার খুব প্রিয়। এছাড়া তার লেখা ক’টি গান শুনেন। রাজনীতি,সাংবাদিকতার পাশাপাশি অবসর সময়ে তিনি উপন্যাস লিখেছেন তার লেখা ৩টি উপ্যানাস প্রথম দেখা মনি, অভিমানী মিনু ও ছোট মা পান্ডুলিপি প্রস্তুুত প্রকাশের অপেক্ষায়। সংগ্রামী এই মানুষটি ৪৫ বছরে পা দিয়ে বলেন তার এখন অনেক কাজ বাকি রয়েছে।

তার সাথে একান্ত আলাপে তার জীবনের অনেক বিষয় উঠে আসে। তার শেষ ইচ্ছা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী,সিলেটের কৃতি সন্তান আলহাজ্ব আব্দুস সামাদের জীবনের উপর “ আমার দেখা সামাদ আজাদ ” “৯০ এর গন আন্দোলন” লিখবেন।

55555

দুই সন্তানের জনক লতিফ নুতন,একমাত্র ছেলে আল-আমিন হোসেন হাবিল ৮ম শ্রেণীতে পড়ে এবং মেয়ে খালেদা লতিফ প্রমি একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ছাত্রী। তার স্ত্রী আমিনা লতিফ সেপী একজন রাজনৈতিক সচেতন মানুষ। নতুনের ভাষ্য মতে স্ত্রী সহযোগীতা না পেলে রাজনীতিতে এতদূর আসতে পারতেন না। স্ত্রী কে তিনি সময় দিতে পারেন না পেশাগত ব্যস্থতার কারণে এতে তার স্ত্রীর কোন অভিযোগ নেই বরং পাশে থেকে প্রেরণা যোগান। তিনি সবার কাছে দোয়া চান।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com