৪ শিশু হত্যা মামলা : রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পরিবর্তন
প্রকাশিত: ৫:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ :: বাহুবলে চাঞ্চল্যকর ৪ শিশু হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পরিবর্তন করা হয়েছে। বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা আলম রবিবার এ আদেশ দেন। পাশাপাশি একই দিন মামলার পূর্ব নির্ধারিত তারিখে কারাগারে আটক মামলার প্রধান আসামি আব্দুল আলী ওরফে বাগালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার দায়িত্বরত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবুল হাসেম মোল্লা মাসুমের পরিবর্তে উক্ত মামলাটি পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপক্ষে ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজনকে স্পেশাল পিপি নিয়োগের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর ২৯ সেপ্টেম্বর আবেদন করেন মামলার বাদী মো. আব্দাল মিয়া। এর প্রেক্ষিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিনা আলম মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনার জন্য রবিবার স্পেশাল পিপি হিসেবে ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজনকে নিয়োগ দেন। আজ মামলার নির্ধারিত তারিখে কারাগারে আটক ৫ আসামিকে জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহর আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন বিচারক। এর আগে হাজতে আসামি হাবিবুর রহমান আরজুকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় মারপিট করে রুবেল মিয়া ও সাহেদ। এ নিয়েও আসামিদের মধ্যে আদালতে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
মামলার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হলেও নানা জটিলতায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা যায়নি। তিনি বলেন, আমাকে রবিবার সকাল ১১টায় চিঠি দিয়ে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি নিয়োগের বিষয় জানানো হয়েছে। কিন্তু মামলার সিডি (কোর্ট ডায়রি) আমি বুঝে পাইনি। ফলে ৪ জন সাক্ষি উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও সাক্ষ্য নেয়া সম্ভব হয়নি। আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক।
আইনজীবী পরিবর্তনের আবেদনে মামলার বাদী আব্দাল মিয়া উল্লেখ করেন, মামলা রুজু করার শুরু থেকেই বাদিপক্ষে এটি পরিচালনা করছেন ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন। ফলে মামলাটি সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি অবহিত আছেন। তাই তার পক্ষেই মামলাটি যথাযথভাবে পরিচালনা করা সম্ভব। একই দিন জেলা প্রশাসক বরাবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পিপি আবুল হাশেম মোল্লা মাসুমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দেন বাদী। এতে তিনি বিশেষ পিপির বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে নিজের স্বাক্ষর আদায়ের অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি মামলা পরিচালনায় তার আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।