সিলেট ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট।
রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল দেয়।
চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে হবে বলে রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু।
গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও লেখকসহ ১১ জনের পক্ষে এই রিট আবেদন করা হয়। আইন সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে এতে বিবাদী করা হয়।
এদিকে ৫৭ ধারা চ্যালেঞ্জ পল্লবীর বাসিন্দা জাকির হোসেনের করা আরেকটি রিট আবেদনের শুনানি এদিন শেষ হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ শুনানির পর বুধবার আদেশের দিন ঠিক করে দিয়েছে।
২০০৬ সালে পাস হওয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৯ ও ২০১৩ সালে দুই দফা সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ সংশোধনে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর থেকে ১৪ বছর কারাদণ্ড করা হয়। আর ৫৭ ধারার অপরাধকে করা হয় অজামিনযাগ্য।
৫৭ ধারায় বলা হয়েছে- ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনো ব্যক্তির তথ্য যদি নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ করে, এতে যদি কারও মানহানি ঘটে, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তা হবে অপরাধ। এর শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ কোটি টাকা জরিমানা।
ওই আইন হওয়ার পর থেকেই বিষয়টিকে ‘বাক স্বাধীনতা পরিপন্থি’ হিসেবে চিহ্নিত করে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন অধিকার আন্দোলনের কর্মীরা।
সম্প্রতি ফেইসবুকে একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্যের কারণে এক সাংবাদিককে এ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করার পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।
অধিকার আন্দোলনের কর্মীরা গ্রেপ্তারের ওই ঘটনাকে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার ‘অপব্যবহার’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকেও ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি জানানো হয়।
ওই ধারা বিলুপ্ত করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে গত ২৭ অগাস্ট সরকারের তিন সচিবকে উকিল নোটিস দিয়েছিলেন ১১ শিক্ষক ও লেখক। তাতে সাড়া না পেয়ে তারা এই রিট আবেদন করেন।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি