সিলেট ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০১৮
নাহ। আমি আজকে তাসফিয়া আর আদনানের পুরান কাহিনী নতুন করে বলে, বিরক্ত করবো না। বরং অনেকেই কাহিনীটা জানেন না বলে, ছোট্ট করে কাহিনীটা বলে, মূল প্রসঙ্গে আসবো-
তাসফিয়া। চট্টগ্রামের সানশাইন নামক পরিচিত ইংলিশ মিডিয়ামে ৯ম শ্রেণীতে পড়ে। ফেসবুকে পরিচয় আদনান মির্জার সাথে। আদনান ১০ম শ্রেণীতে পড়ে।
ফেসবুকে পরিচয়, ঘনিষ্ঠতা অত:পর প্রণয়।
গেল শবে বরাতে তাদের ভালোবাসার এক মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে আদনানের সাথে দেখা করতে মেয়েটা একটা রেস্টুরেন্ট যায়।
বাবা ব্যবসায়ী, নানা কাজে ব্যস্ত, মাও ঘরের কাজে ব্যস্ত শিবে বরাতের প্রস্তুতিতে। এরই এক ফাঁকে তাস্ফিয়া কাউকে না জানিয়ে আদনানের সাথে দেখা করতে রেস্টুরেন্ট যায়।
সেখানে আইসক্রিম আর কেক অর্ডার করলেও, আইসক্রিমটাই খায়। সেলিব্রেশনের জন্য যে কেক, সেটাই খায় নি দুইজনের কেউই!
এরপর সিসি টিভিতে দুইজনকে দেখা গেছে আলাদা আলাদা সি এন জিতে উঠতে।
তাসফিয়া সে রাতে আর বাড়ি ফেরে নি। পরদিন পতেঙ্গার কূলে পাওয়া গেছে তাসফিয়ার মুখে আঘাত করা লাশ।
আদনান ঘটনাক্রমে আটক!
খবরে ৩ ধরণের থিওরি আসছে তাসফিয়া মার্ডার/ডেথ কেইসে-
১> কেউ কেউ দাবি করছেন, তাসফিয়া নিজেই সুইসাইড করে। উপর থেকে লাফ দিয়ে মুখ থেতলে গেছে।
২> আদনান আর তাসফিয়া পতেঙ্গা কূলে হাটতে যায়। সেখানে কিছু হয়, প্রবাব্লি হাতাহাতি। এক পর্যায়ে তাসফিয়া পিছলে পড়ে।
৩> ঘটনা তদন্তে কিছু উপাত্ত এটা বলছে, আদনান তাসফিয়ার সাথে যায়। সাথে আরও ৪ ফ্রেন্ডও যায়। এরপর তাসফিয়ার লাশ পরদিন পাওয়া যায়।
আদনানকে গ্রেফতার করলেও, বাকি ফ্রেন্ডরা নিঁখোজ!
মূলত ৩ নম্বর পয়েন্টটা বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে, কেননা নিরপরাধ হলে ফ্রেন্ডরা কেন গায়েব?
আর তাসফিয়া সুইসাইড করার মতো অসুখী ছিল না।
এরপরও ঘটনা তদন্ত করে বের হবে।
.
আমার মূল কথা এখানে না। মূল কথা হল, ভার্চুয়াল সম্পর্কের আসলেই কি কোন ভ্যালু আছে?
এতদিন নিজের কিছু ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং আশে পাশের পরিচিতদের কাহিনী শুনে মনে হচ্ছিল, হালকা করে, ভার্চুয়াল সম্পর্কের ভিত নড়বড়ে।
কিন্তু এই মেয়েটার কথা পড়ে মনে জোরালো হচ্ছে ধারণা- ১০০ এর মধ্যে ৯৮ টা কেসই ফ্রডারির। সেক্ষেত্রে সাফার খালি ভিক্টিম একা না, পুরা ভিক্টিমের পরিবার করে!
আর আমাদের সোসাইটিও এমন, ছিঃ ছিঃ টা তারা অপরাধীকে না, উলটা ভিক্টিম পরিবারকেই করে!
সব মেয়েরা যেমন ধোয়া তুলসী পাতা না। সব ছেলেরাও না।
ইদানীং ডিশ, নেট, পর্নের যুগে, মূল্যবোধ এত নিচে নেমে গেছে, যে কি আর বলবো!
ক্লাস নাইন টেনে, আমি আমাদের সময় ইচ্ছামতো ব্যাডমিন্টন খেলেছি ছেলেদের সাথে। কারণ মেয়েদের ন্যাকামি, ওড়না ঠিক করা ব্যাডমিন্টন ভাল্লাগতো না। আমার টার্গেট ছিল, অরিজিনাল গেইম শেখা!
ভাইয়ারাও নিজের বোনের মতো শিখাতো! বাবা মা কতটা নিশ্চিন্তেই না আমাকে একদল বড় ছেলের মাঝে ছেড়ে দিতেন!
আর এখন? ভালবাসার আবেগে ছুটে আসা মেয়েটার অনুভূতির কোন মূল্য নেই ঐ একফালি সাদা নশ্বর শরীরকে ভোগ করার কাছে???
জাস্ট আমার ছোট ছোট ভাইয়া-আপি, কিংবা পরিচিত সবাইকে বলবো। প্লিজ। সচেতন হয়। ভার্চুয়াল একটা মায়াবন!
আগে মায়াবনে গল্পের পাতায় ছিল, এখন নেটে এসেছে!
এখানে আবেগে হারিয়ো না। কাউকে বিশ্বাস কর না!
নিজের মা বাবার থেকে কেউ তোমাকে বেশি ভালোবাসবে না!
আমি বলছি না, সব ভালোবাসাই ফেইক! ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে! ২-৩ টা? সেই ব্যতিক্রম কখনও উদাহরণ হতে পারে না!!
আর তুমি, তোমার কপাল যে বিধাতা এত্ত সৌভাগে পরিপূর্ণ করেছে, যে তোমার ভালোবাসাই সেই ব্যতিক্রমী, সেই গ্যারান্টি কে দিবে?
তুমি? আবেগের বোকার গ্যারান্টি গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, আবেগের বোকা ধোকা খেলেও টের পায় না যে, তারা ধোকা খাচ্ছে।
আগে ধোকা খেয়ে ছেলে/ মেয়ে বাড়ি গিয়ে দরজা এটে কাঁদত।
আর এখন ধোকা খেলে লাশ খুঁজে পাওয়া যায়। এই যা তফাৎ। সাব্বাস বেবি ডল, পটাকা ট্রেন্ডজ! ইয়ো ইয়ো হানি মধু ট্রেন্ড, তোমায় সালাম।
#Samara_Sadia_Moula
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি