পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে পালানো ২ জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০২২

পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে পালানো ২ জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা

সুরমা মেইল ডেস্ক :
পুলিশের চোখে স্প্রে করে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে গেছে।

 

তারা হলেন- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব সাজিদ। দুজনই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।

 

রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ দুই আসামি পালিয়ে যান। তাদের ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

এদিকে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি পালানোর পর দেশের সব আদালতের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান রোববার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এ নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে পালানো ২ জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা

অপরদিকে, আদালত প্রাঙ্গনে পুলিশি হেফাজত থেকে পালানো দুই জঙ্গির ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাদেরকে ধরিয়ে দিতে পারলে নগদ ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ সদরদপ্তর। গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বার্তায় পুলিশ সদরদপ্তর বলেছে, আদালত পালানো দুই জঙ্গিকে ধরতে রাজধানীসহ সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম বলছেন, দুই জঙ্গিকে ধরতে চৌকস টিম মাঠে নেমেছে। অভিযানের অগ্রগতি হয়েছে।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই জঙ্গিকে অন্য মামলার শুনানিতে হাজির করতে কাশিমপুর কারাগার থেকে পুরান ঢাকায় আদালতে আনা হয়েছিল। সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে নেওয়ার সময় তারা পুলিশের চোখে স্প্রে জাতীয় কিছু মেরে পালিয়ে যায়।

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পলাতক দুই আসামির খোঁজে পুলিশ মাঠে নেমেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

 

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর প্রকাশক দীপনকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আট জঙ্গির ফাঁসির রায় দেয় আদালত।

 

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামিরা হলেন- বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের।

 

আট আসামির সবাইকে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তাদের মধ্যে চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা জিয়া ও আকরাম পলাতক। বাকিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন।


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com