সিলেট ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ বাজিরাও মাস্তানি-র মুক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে ভারতের মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন চার ব্যক্তি। এদের দাবি, তাঁরা পেশওয়া বাজিরাও এবং মাস্তানির উত্তরাধিকারী (অষ্টম প্রজন্ম)।
এই জনস্বার্থ মামলা বেশ কিছুটা চাপে ফেলেছে ছবির প্রযোজক-পরিচালক সঞ্জয়লীলা বানশালীকে। এই ছবিতে বাজিরাওয়ের ভূমিকায় রয়েছেন রণবীর সিং এবং মাস্তানির চরিত্রে অভিনয় করছেন দীপিকা পাড়ুকোন।
সঞ্জয়লীলা বানশালী প্রযোজিত-পরিচালিত ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ছবিটির প্রচারে এবং গানগুলিতে যা দেখানো হচ্ছে, যেভাবে বাজিরাও এবং মাস্তানিকে দেখানো হয়েছে, তাতে তাঁদের বংশের সম্মানহানি হয়েছে, এমনটাই দাবি ওই চার আবেদনকারীর একজন আওয়াইস বাহাদুরের।
আওয়াইস আরও জানান, বানশালির ছবিটিতে ঐতিহাসিক সত্যকে গুরুত্ব না দিয়ে শুধুমাত্র মুনাফার কথা মাথায় রেখে বিনোদনকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রায় তিনশো বছর আগে ১৭২০ থেকে ১৭৪০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত (আমৃত্যু), মারাঠার চতুর্থ ছত্রপতি সাহুজি রাজে ভোসলের সেনাপতি ছিলেন বাজিরাও। তাঁর জীবনের ৪১টি যুদ্ধে কখনও তাঁকে পরাজিত করা যায়নি। ১৭৪০ সালে অসুস্থ হয়ে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে হঠাত্ তাঁর মৃত্যু হয়। এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ মারাঠা সেনাপতি বাজিরাওকে নিয়েই আগামী ১৮ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ‘বাজিরাও মাস্তানি’। আর তার আগেই ছবিটির মুক্তিতে স্থগিতাদেশ এই জনস্বার্থ মামলা। যদিও সঞ্জয়লীলা বানশালী, রণবীর-দীপিকা-সহ অনেকেই এখন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি